AroundMaps Logo
Search
Add Listing

এডুলিচার সরস গল্প

0

About এডুলিচার সরস গল্প

Eduliture is an organisation for PureKnowledge.

Description

Eduliture is an organisation for PureKnowledge.

Map

Item Reviews - 8

Anynomous

"

অপেক্ষা

সকল বেলা কাটিয়া গেল বিকাল নাহি যায়। দিনের শেষে শ্রান্তছবি...

Continue Reading "

27 February 2023

Anynomous

"

ব্যক্ত প্রেম কেন তবে কেড়ে নিলে লাজ-আবরণ? হৃদয়ের দ্বার হেনেবাহিরে আনিলে টেনে, শেষে কি পথের মাঝে করিবে বর্জন?

...

আপন অন্তরে আমি ছিলাম আপনি, সংসারের শত কাজেছিলাম সবার মাঝে, সকলে যেমন ছিল আমিও তেমনি।

তুলিতে পূজার ফুল যেতেম যখন সেই পথ ছায়া-করা,সেই বেড়া লতা-ভরা, সেই সরসীর তীরে করবীর বন—

সেই কুহরিত পিক শিরীষের ডালে, প্রভাতে সখীর মেলা,কত হাসি কত খেলা— কে জানিত কী ছিল এ প্রাণের আড়ালে।

বসন্তে উঠিত ফুটে বনে বেলফুল, কেহ বা পরিত মালা,কেহ বা ভরিত ডালা, করিত দক্ষিণবায়ু অঞ্চল আকুল।

বরষায় ঘনঘটা, বিজুলি খেলায়— প্রান্তরের প্রান্তদিশেমেঘে বনে যেত মিশে, জুঁইগুলি বিকশিত বিকাল বেলায়।

বর্ষ আসে বর্ষ যায়, গৃহকাজ করি— সুখদুঃখ ভাগ লয়েপ্রতিদিন যায় বয়ে, গোপন স্বপন লয়ে কাটে বিভাবরী।

লুকানো প্রাণের প্রেম পবিত্র সে কত! আঁধার হৃদয়তলেমানিকের মতো জ্বলে, আলোতে দেখায় কালো কলঙ্কের মতো।

ভাঙিয়া দেখিলে ছিছি নারীর হৃদয়! লাজে ভয়ে থর্‌থর্‌ভালোবাসা-সকাতর তার লুকাবার ঠাঁই কাড়িলে নিদয়!

আজিও তো সেই আসে বসন্ত শরৎ। বাঁকা সেই চাঁপা-শাখেসোনা-ফুল ফুটে থাকে, সেই তারা তোলে এসে— সেই ছায়াপথ।

সবাই যেমন ছিল, আছে অবিকল— সেই তারা কাঁদে হাসে,কাজ করে, ভালোবাসে, করে পূজা, জ্বালে দীপ, তুলে আনে জল।

কেহ উঁকি মারে নাই তাহাদের প্রাণে— ভাঙিয়া দেখে নি কেহহৃদয় গোপন গেহ, আপন মরম তারা আপনি না জানে।

আমি আজ ছিন্ন ফুল রাজপথে পড়ি, পল্লবের সুচিকনছায়াস্নিগ্ধ আবরণ তেয়াগি ধুলায় হায় যাই গড়াগড়ি।

নিতান্ত ব্যথায় ব্যথী ভালোবাসা দিয়ে সযতনে চিরকালরচি দিবে অন্তরাল, নগ্ন করেছিনু প্রাণ সেই আশা নিয়ে।

মুখ ফিরাতেছ সখা, আজ কী বলিয়া! ভুল করে এসেছিলে?ভুলে ভালোবেসেছিলে? ভুল ভেঙে গেছে, তাই যেতেছ চলিয়া?

তুমি তো ফিরিয়া যাবে আজ বই কাল— আমার যে ফিরিবারপথ রাখ নাই আর, ধূলিসাৎ করেছ যে প্রাণের আড়াল।

একি নিদারুণ ভুল! নিখিলনিলয়ে এত শত প্রাণ ফেলেভুল করে কেন এলে অভাগিনী রমণীর গোপন হৃদয়ে!

ভেবে দেখো আনিয়াছ মোরে কোন্‌খানে— লত লক্ষ আঁখিভরাকৌতুককঠিন ধরা চেয়ে রবে অনাবৃত কলঙ্কের পানে।

ভালোবাসা তাও যদি ফিরে নেবে শেষে, কেন লজ্জা কেড়ে নিলে,একাকিনী ছেড়ে দিলে বিশাল ভবের মাঝে বিবসনা-বেশে! ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৮৮৮

See More "

27 February 2023

Anynomous

"

"বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল্‌!"— পুরানো সেই সুরে কে যেন ডাকে দূরে, কোথা সে ছায়া সখী, কোথা সে জল! কোথা সে বাঁধা ঘাট, অশথ-তল! ছিলাম আনমনে একেলা গৃহকোণে,...

Continue Reading "

27 February 2023

Anynomous

"

মানসিক অভিসার মনে হয় সেও যেন রয়েছে বসিয়া চাহি বাতায়ন হতে নয়ন উদাস— কপোলে, কানের কাছে, যায় নিশ্বসিয়া কে জানে কাহার কথা বিষণ্ণ বাতাস।... ত্যজি তার তনুখানি কোমল হৃদয় বাহির হয়েছে যেন দীর্ঘ অভিসারে, সম্মুখে অপার ধরা কঠিন নিদয়— একাকিনী দাঁড়ায়েছে তাহারি মাঝারে। হয়তো বা এখনি সে এসেছে হেথায় মৃদুপদে পশিতেছে এই বাতায়নে, মানস-মুরতিখানি আকুল আমায় বাঁধিতেছে দেহহীন স্বপ্ন-আলিঙ্গনে। তারি ভালোবাসা, তারি বাহু সুকোমল, উৎকণ্ঠ চকোর-সম বিরহ-তিয়াষ, বহিয়া আনিছে এই পুষ্প-পরিমল— কাঁদায়ে তুলিছে এই বসন্ত-বাতাস। ২১ বৈশাখ, ১৮৮৮

See More "

27 February 2023

Anynomous

"

শ্রান্তি কত বার মনে করিপূর্ণিমানিশীথে স্নিগ্ধ সমীরণ, নিদ্রালস আঁখি-সমধীরে যদি মুদে আসে এ শ্রান্ত জীবন।... গগনের অনিমেষজাগ্রত চাঁদের পানে মুক্ত দুটি বাতায়নদ্বার— সুদূরে প্রহর বাজে,গঙ্গা কোথা বহে চলে, নিদ্রায় সুষুপ্ত দুই পার। মাঝি গান গেয়ে যায়বৃন্দাবনগাথা আপনার মনে, চিরজীবনের স্মৃতিঅশ্রু হয়ে গলে আসে নয়নের কোণে। স্বপ্নের সুধীর স্রোতেদূরে ভেসে যায় প্রাণ স্বপ্ন হতে নিঃস্বপ্ন অতলে, ভাসানো প্রদীপ যথানিবে গিয়ে সন্ধ্যাবায়ে ডুবে যায় জাহ্নবীর জলে।

১৬ বৈশাখ, ১৮৮৮

See More "

27 February 2023

Anynomous

"

শূন্য গৃহে কে তুমি দিয়েছ স্নেহ মানবহৃদয়ে, কে তুমি দিয়েছ প্রিয়জন! বিরহের অন্ধকারেকে তুমি কাঁদাও তারে, তুমি কেন গো সাথে কর না ক্রন্দন!

...

প্রাণ যাহা চায় তাহা দাও বা না দাও, তা বলে কি করুণা পাব না? দুর্লভ ধনের তরেশিশু কাঁদে সকাতরে, তা বলে কি জননীর বাজে না বেদনা?

দুর্বল মানব-হিয়া বিদীর্ণ যেথায়, মর্মভেদী যন্ত্রণা বিষম, জীবন নির্ভরহারাধুলায় লুটায়ে সারা, সেথাও কেন গো তব কঠিন নিয়ম।

সেথাও জগৎ তব চিরমৌনী কেন, নাহি দেয় আশ্বাসের সুখ। ছিন্ন করি অন্তরালঅসীম রহস্যজাল কেন না প্রকাশ পায় গুপ্ত স্নেহমুখ!

ধরণী জননী কেন বলিয়া উঠে না —করুণমর্মর কণ্ঠস্বর— "আমি শুধু ধূলি নই,বৎস, আমি প্রাণময়ী জননী, তোদের লাগি অন্তর কাতর।

"নহ তুমি পরিত্যক্ত অনাথ সন্তান চরাচর নিখিলের মাঝে; তোমার ব্যাকুল স্বরউঠিছে আকাশ-'পর, তারায় তারায় তার ব্যথা গিয়ে বাজে।"

কাল ছিল প্রাণ জুড়ে, আজ কাছে নাই— নিতান্ত সামান্য এ কি নাথ? তোমার বিচিত্র ভবেকত আছে কত হবে, কোথাও কি আছে প্রভু, হেন বজ্রপাত?

আছে সেই সূর্যালোক, নাই সেই হাসি— আছে চাঁদ, নাই চাঁদমুখ। শূন্য পড়ে আছে গেহ,নাই কেহ, নাই কেহ— রয়েছে জীবন, নেই জীবনের সুখ।

সেইটুকু মুখখানি, সেই দুটি হাত, সেই হাসি অধরের ধারে, সে নহিলে এ জগৎশুষ্ক মরুভূমিবৎ— নিতান্ত সামান্য এ কি এ বিশ্বব্যাপারে?

এ আর্তস্বরের কাছে রহিবে অটুট চৌদিকের চিরনীরবতা? সমস্ত মানবপ্রাণবেদনায় কম্পমান নিয়মের লৌহবক্ষে বাজিবে না ব্যথা!

গাজিপুর, ১১ বৈশাখ, ১৮৮৮

See More "

27 February 2023

Anynomous

"

নারীর উক্তি

মিছে তর্ক— থাক্‌ তবে থাক্‌। কেন কাঁদি বুঝিতে পার না? তর্কেতে বুঝিবে তা কি? এই মুছিলাম আঁখি—...

Continue Reading "

27 February 2023

Anynomous

"

হৃদয়ের ধন কাছে যাই, ধরি হাত, বুকে লই টানি— তাহার সৌন্দর্য লয়ে আনন্দে মাখিয়া পূর্ণ করিবারে চাহি মোর দেহখানি, আঁখিতলে বাহুপাশে কাড়িয়া রাখিয়া।... অধরের হাসি লব করিয়া চুম্বন, নয়নের দৃষ্টি লব নয়নে আঁকিয়া, কোমল পরশখানি করিয়া বসন রাখিব দিবসনিশি সর্বাঙ্গ ঢাকিয়া। নাই, নাই, কিছু নাই, শুধু অম্বেষণ— নীলিমা লইতে চাই আকাশ ছাঁকিয়া। কাছে গেলে রূপ কোথা করে পলায়ন, দেহ শুধু হাতে আসে— শ্রান্ত করে হিয়া। প্রভাতে মলিনমুখে ফিরে যাই গেহে, হৃদয়ের ধন কভু ধরা যায় দেহে? ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৭

See More "

27 February 2023

Add Reviews & Rate item

Your rating for this listing :

Help Us to Improve :

Location / Contacts :